নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোন ঘোষণা ছাড়াই বন্দরে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। যেকারণে বন্দরবাসীকে গ্যাস সংকটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এই দুর্ভোগ এখন ক্ষোভে পরিণত হচ্ছে। যেকারণে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছে বন্দরবাসী। অন্যদিকে তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা এ ব্যাপারে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
১১ সেপ্টেম্বর বন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকটের নানা অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় গৃহিনীদের চরম দুর্দশার চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ বাসা বাড়িতে গ্যাস একেবারেই থাকছেনা। তবে কিছু স্থানে কখনো কখনো সামান্য পরিমাণে গ্যাস থাকলেও বেশির ভাগ সময়ই গ্যাসের কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়না। গত কয়েক দিনের ব্যবধানে গ্যাস সংকট যেন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করছে। এ কারণে অনেক বাড়িতে রান্নার কাজে ব্যবহৃত চুলা বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু খেয়ে বেঁচে থাকার দরুণ অনেকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মাটির কিংবা বিকল্প কোন চুলা ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। আবার অনেকে হোটেল থেকে খাবার ক্রয় করে আহারের ব্যবস্থা করছেন। তবে এবারের গ্যাস সংকট সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন গৃহিনীরা।
স্থানীয়রা জানায়, বিগত ইউপি নির্বাচনের পূর্বে ভোটের কথা মাথায় রেখে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে দেয়নি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে সেই অবৈধ গ্যাসই এখন ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র কয়েক মাস বাকী। এবার অবৈধ গ্যাসের প্রভাবে গ্যাস সরবরাহ একেবারে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ গ্যাস বন্ধের বিষয়টি স্বীকার না করলেও অঘোষিতভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বন্দরে গ্যাস সরবরাহ।
ক্ষুব্ধ গৃহিনীরা জানান, ভোটের জন্য অবৈধ গ্যাস দিয়ে সয়লাব করে দেয়া হয়েছে গোটা বন্দর। লাভবান হয়েছে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাউন্সিলররা। ইউপি ও সিটি নির্বাচনের আগে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার উদ্যোগ নিলেও এসব জনপ্রতিনিধিরা ভোটের জন্য গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধা দেয়। তারা এমপি সেলিম ওসমানকে দিয়ে তিতাস গ্যাস অফিসে তদবীর করিয়ে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বহাল রাখে। পরবর্তীতে সেসব জনপ্রতিনিধিরা পুনরায় নির্বাচিতও হন। এবার সামনে সংসদ নির্বাচন। গত রমজান মাস থেকেই বন্দরে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। এখন গ্যাস প্রায় বন্ধ। অধিকাংশ এলাকায় মানুষ গ্যাস পাচ্ছেনা। শিঘ্রই গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে আন্দোলনে নামা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা।